ঢাকা ০১:৪৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৯ মে ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ঈদুল ফিতরে সমুজ্জ্বল হোক সম্প্রীতির বন্ধন

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০২:২৯:৩০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩ মে ২০২২
  • ১৭২ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ সৃষ্টিকর্তার অপার কৃপায় এক মাস সিয়াম সাধনা শেষ করে আজ আমরা পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপন করছি, আলহামদুলিল্লাহ। এক মাস সিয়াম সাধনার পর পশ্চিম আকাশে শাওয়ালের একফালি চাঁদ ঈদুল ফিতরের বার্তা নিয়ে এসেছে।

অন্যান্য উৎসব থেকে ঈদের পার্থক্য হল-সবাই এর অংশীদার। সবার মাঝে নিজেকে বিলিয়ে দেয়ার মধ্যে রয়েছে অপার আনন্দ। ঈদের দিন ধনী-গরিব নির্বিশেষে সবাই এককাতারে শামিল হয়ে মহান সৃষ্টিকর্তার সন্তুষ্টি কামনা করে।

ঈদের আগের এক মাস সিয়াম সাধনার মাধ্যমে আমরা আত্মাকে পরিশুদ্ধ করি। অপরের দুঃখ-কষ্ট বুঝতে সচেষ্ট হই। রোজার প্রধান লক্ষ্য ত্যাগ ও সংযম। ব্যক্তিগত, সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় জীবনে ত্যাগের অনুপম দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে পারলে তা হবে সবার জন্য কল্যাণকর।

ঈদ শুধু আনন্দ উৎসবের নাম নয় বরং মহান রাব্বুল আলামিনের পক্ষ থেকে মুসলিম মিল্লাতের জন্য একটি বিশেষ রহমত ও আল্লাহর দেয়া আদেশ। যার মাধ্যমে আমরা আল্লাহতায়ালার নৈকট্য ও সন্তুষ্টি অর্জন করতে পারি।

আল্লাহ ও রাসুলের (সা.) অপছন্দনীয় সকল কাজ থেকে বিরত থাকা এবং সারা মাস রোজা থাকার ফলে হৃদয় থেকে যে আনন্দ বের হয়ে আসে তা-ই প্রকৃত ঈদ। যারা পবিত্র মাহে রমজানের সারা মাস রোজা রেখেছে এবং অন্যান্য সব ইবাদত যথাযথ মনোনিবেশ সহকারে পালন করেছে মূলত তাদের জন্যই এই ঈদ প্রকৃত আনন্দের এবং ইবাদতের।

মুসলমানের জন্য ঈদ একটি মহা ইবাদত। ঈদের ইবাদতে শরীয়ত নির্দেশিত কিছু বিধি-বিধান রয়েছে, যা পালনে সামাজিক জীবনে পারস্পরিক আন্তরিকতা, সহমর্মিতা ও বন্ধন সুসংহত হয়।
ঈদুল ফিতরের শরীয়ত দিক হলো, ঈদের নামাজের পূর্বে রোজার ফিতরানা ও ফিদিয়া আদায় করা, ঈদ গাহে দু’ রাকাত নামাজ আদায় করা, খুতবা শুনা এবং উচ্চস্বরে ‘আল্লাহু আকবার আল্লাহু আকবার লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াল্লাহু আকবার আল্লাহু আকবার ওয়া লিল্লাহিল হামদ’ অর্থাৎ আল্লাহ সর্বশ্রেষ্ঠ, আল্লাহ সর্বশ্রেষ্ঠ, আল্লাহ ছাড়া কোন উপাস্য নেই আর আল্লাহ সর্বশ্রেষ্ঠ, আল্লাহ সর্বশ্রেষ্ঠ, সকল প্রশংসা আল্লাহর। এই তাকবির পাঠ করা।

ঈদের মাধমে আমাদের দৈহিক, মানসিক ও আধ্যাত্মিক পরিশুদ্ধি ঘটে আর পরস্পরের মাঝে ঈমানি ভ্রাতৃত্ববোধ সৃষ্টি হয় এবং নিজেদের মাঝে হিংসা বিদ্বেষ দূর হয়ে এক স্বর্গীয় পরিবেশ সৃষ্টি হয়। যদি এমনটা হয় তাহলেই আমাদের এ ঈদ পালন ইবাদতে গন্য হবে। যারা খেলা ধূলা ও আনন্দ উৎসবে মেতে দিন অতিবাহিত করে তাদের জন্য এ ঈদ জীবনে কোন পরিবর্তন বয়ে আনবে না। তাদের জন্য ঈদ একটি আনন্দ মেলা বৈ কিছু নয়।

আসলে ঈদ শুধু ভাল খাওয়া ও নতুন পোশাক পরিধান এবং বন্ধুদের সাথে বিভিন্ন জায়গায় আনন্দ ভ্রমণ করার নাম নয়। বরং কৃতজ্ঞতা আদায়ের জন্য একটা বিশেষ সুযোগ হিসেবে আল্লাহতায়ালা আমাদেরকে ঈদ দান করেছেন। তাই ঈদের দিন আমাদেরকে বেশি বেশি আল্লাহতায়ালার শুকরিয়া জ্ঞাপন করা উচিত।

আমাদের এ ঈদ তখনই প্রকৃত ও চিরস্থায়ী আনন্দ হবে যখন আমরা একে অন্যের ব্যাথা অনুভব করে, এক দলবদ্ধ হয়ে প্রত্যেকে প্রত্যেকের দুঃখ কষ্ট দূর করার জন্য চেষ্টা করবো। যার ফলে এ ঈদ মহা ইবাদতে রূপ লাভ করবে।

আমরা যখন পরোপুরি স্থায়ীভাবে আমাদের গরীব ভাইদের অভাব দূরীকরণের দিকে দৃষ্টি নিবদ্ধ করব তখনই এটা আমাদের প্রকৃত ঈদ উদযাপন হবে।

মূলত ঈদ ঐশী জগত কর্তৃক ঘোষিত পবিত্র অনুষ্ঠান। অতএব পবিত্রগণই এ অনুষ্ঠান উৎযাপনের একমাত্র অধিকারী, ঈদের মাহাত্ম্য হলো, তা সাম্য বাড়ায়, সাম্প্রদায়িক দ্বন্দ্ব নিরসন করে, দুষ্ট আত্মার আত্মম্ভরিতা ও দম্ভ দমায়, ভ্রাতৃত্বের আদরকে সমুজ্জ্বল করে, অন্যের প্রতি অনুকম্পাশীল হতে অনুপ্রেরণা যোগায়, বিচ্ছেদ হওয়ার মনোভাবকে সমূলে সমুৎপাটন করে। প্রকৃত ঈদপালন কারীর হৃদয়ে, ঈদ দয়া, মায়া, স্নেহ, পরোপকার, পরাধিকারবোধকে তীব্র তাগিদে জাগ্রত করে। সর্বৈব পরাভুত করে মনের হিংসা, দ্বেষ, ঈর্ষা, প্রতিশোধ গ্রহণবোধকে।

তাই আমরা একে অপরের সুখ-দু:খে পাশে দাঁড়াব আর ঈদ আনন্দে সবাইকে শামিল করে নিব। আমাদের কামনা- ঈদের আনন্দ পৌঁছে যাক সবার ঘরে ঘরে। সবার জীবন হয়ে উঠুক আনন্দময় ও উৎসবমুখর।

শেষ করছি নজরুলের ঈদ মোবারক কবিতার কয়েকটি পঙক্তি দিয়ে।

“ইসলাম বলে, সকলের তরে মোরা সবাই/সুখ-দুখ সম-ভাগ ক’রে নেব সকলে ভাই,/নাই অধিকার সঞ্চয়ের।/কারো আঁখি-জলে কারো ঝাড়ে কি রে জ্বলিবে দীপ?/দু’জনার হবে বুলন্দ-নসিব, লাখে লাখে হবে বদ্নসিব?/এ নহে বিধান ইসলামের।

ঈদ-অল-ফিতর আনিয়াছে তাই নববিধান,/ওগো সঞ্চয়ী, উদ্বৃত্ত যা করিবে দান,/ক্ষুধার অন্ন হোক তোমার!/ভোগের পেয়ালা উপচায়ে পড়ে তব হাতে,/তৃষ্ণাতুরের হিসসা আছে ও পিয়ালাতে,
দিয়া ভোগ কর, বীর, দেদার।

পথে পথে আজ হাঁকিব, বন্ধু, ঈদ মোবারক! আসসালাম!/ঠেঁটে ঠোঁটে আজ বিলাব শিরনী ফুল কালাম!

বিলিয়ে দেওয়ার আজিকে ঈদ!/আমার দানের অনুরাগে রাঙা ঈদগা’ রে!/সকলের হাতে দিয়ে দিয়ে আজ আপনারে/দেহ নয়, দিল হবে শহীদ।”

ঈদুল ফিতর সবার জন্য বয়ে আনুক অফুরন্ত কল্যাণ আর দূর হোক সব বালা মুসিবত।
সবাইকে পবিত্র ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা ও ঈদ মোবারক।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

ঈদুল ফিতরে সমুজ্জ্বল হোক সম্প্রীতির বন্ধন

আপডেট টাইম : ০২:২৯:৩০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩ মে ২০২২

হাওর বার্তা ডেস্কঃ সৃষ্টিকর্তার অপার কৃপায় এক মাস সিয়াম সাধনা শেষ করে আজ আমরা পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপন করছি, আলহামদুলিল্লাহ। এক মাস সিয়াম সাধনার পর পশ্চিম আকাশে শাওয়ালের একফালি চাঁদ ঈদুল ফিতরের বার্তা নিয়ে এসেছে।

অন্যান্য উৎসব থেকে ঈদের পার্থক্য হল-সবাই এর অংশীদার। সবার মাঝে নিজেকে বিলিয়ে দেয়ার মধ্যে রয়েছে অপার আনন্দ। ঈদের দিন ধনী-গরিব নির্বিশেষে সবাই এককাতারে শামিল হয়ে মহান সৃষ্টিকর্তার সন্তুষ্টি কামনা করে।

ঈদের আগের এক মাস সিয়াম সাধনার মাধ্যমে আমরা আত্মাকে পরিশুদ্ধ করি। অপরের দুঃখ-কষ্ট বুঝতে সচেষ্ট হই। রোজার প্রধান লক্ষ্য ত্যাগ ও সংযম। ব্যক্তিগত, সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় জীবনে ত্যাগের অনুপম দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে পারলে তা হবে সবার জন্য কল্যাণকর।

ঈদ শুধু আনন্দ উৎসবের নাম নয় বরং মহান রাব্বুল আলামিনের পক্ষ থেকে মুসলিম মিল্লাতের জন্য একটি বিশেষ রহমত ও আল্লাহর দেয়া আদেশ। যার মাধ্যমে আমরা আল্লাহতায়ালার নৈকট্য ও সন্তুষ্টি অর্জন করতে পারি।

আল্লাহ ও রাসুলের (সা.) অপছন্দনীয় সকল কাজ থেকে বিরত থাকা এবং সারা মাস রোজা থাকার ফলে হৃদয় থেকে যে আনন্দ বের হয়ে আসে তা-ই প্রকৃত ঈদ। যারা পবিত্র মাহে রমজানের সারা মাস রোজা রেখেছে এবং অন্যান্য সব ইবাদত যথাযথ মনোনিবেশ সহকারে পালন করেছে মূলত তাদের জন্যই এই ঈদ প্রকৃত আনন্দের এবং ইবাদতের।

মুসলমানের জন্য ঈদ একটি মহা ইবাদত। ঈদের ইবাদতে শরীয়ত নির্দেশিত কিছু বিধি-বিধান রয়েছে, যা পালনে সামাজিক জীবনে পারস্পরিক আন্তরিকতা, সহমর্মিতা ও বন্ধন সুসংহত হয়।
ঈদুল ফিতরের শরীয়ত দিক হলো, ঈদের নামাজের পূর্বে রোজার ফিতরানা ও ফিদিয়া আদায় করা, ঈদ গাহে দু’ রাকাত নামাজ আদায় করা, খুতবা শুনা এবং উচ্চস্বরে ‘আল্লাহু আকবার আল্লাহু আকবার লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াল্লাহু আকবার আল্লাহু আকবার ওয়া লিল্লাহিল হামদ’ অর্থাৎ আল্লাহ সর্বশ্রেষ্ঠ, আল্লাহ সর্বশ্রেষ্ঠ, আল্লাহ ছাড়া কোন উপাস্য নেই আর আল্লাহ সর্বশ্রেষ্ঠ, আল্লাহ সর্বশ্রেষ্ঠ, সকল প্রশংসা আল্লাহর। এই তাকবির পাঠ করা।

ঈদের মাধমে আমাদের দৈহিক, মানসিক ও আধ্যাত্মিক পরিশুদ্ধি ঘটে আর পরস্পরের মাঝে ঈমানি ভ্রাতৃত্ববোধ সৃষ্টি হয় এবং নিজেদের মাঝে হিংসা বিদ্বেষ দূর হয়ে এক স্বর্গীয় পরিবেশ সৃষ্টি হয়। যদি এমনটা হয় তাহলেই আমাদের এ ঈদ পালন ইবাদতে গন্য হবে। যারা খেলা ধূলা ও আনন্দ উৎসবে মেতে দিন অতিবাহিত করে তাদের জন্য এ ঈদ জীবনে কোন পরিবর্তন বয়ে আনবে না। তাদের জন্য ঈদ একটি আনন্দ মেলা বৈ কিছু নয়।

আসলে ঈদ শুধু ভাল খাওয়া ও নতুন পোশাক পরিধান এবং বন্ধুদের সাথে বিভিন্ন জায়গায় আনন্দ ভ্রমণ করার নাম নয়। বরং কৃতজ্ঞতা আদায়ের জন্য একটা বিশেষ সুযোগ হিসেবে আল্লাহতায়ালা আমাদেরকে ঈদ দান করেছেন। তাই ঈদের দিন আমাদেরকে বেশি বেশি আল্লাহতায়ালার শুকরিয়া জ্ঞাপন করা উচিত।

আমাদের এ ঈদ তখনই প্রকৃত ও চিরস্থায়ী আনন্দ হবে যখন আমরা একে অন্যের ব্যাথা অনুভব করে, এক দলবদ্ধ হয়ে প্রত্যেকে প্রত্যেকের দুঃখ কষ্ট দূর করার জন্য চেষ্টা করবো। যার ফলে এ ঈদ মহা ইবাদতে রূপ লাভ করবে।

আমরা যখন পরোপুরি স্থায়ীভাবে আমাদের গরীব ভাইদের অভাব দূরীকরণের দিকে দৃষ্টি নিবদ্ধ করব তখনই এটা আমাদের প্রকৃত ঈদ উদযাপন হবে।

মূলত ঈদ ঐশী জগত কর্তৃক ঘোষিত পবিত্র অনুষ্ঠান। অতএব পবিত্রগণই এ অনুষ্ঠান উৎযাপনের একমাত্র অধিকারী, ঈদের মাহাত্ম্য হলো, তা সাম্য বাড়ায়, সাম্প্রদায়িক দ্বন্দ্ব নিরসন করে, দুষ্ট আত্মার আত্মম্ভরিতা ও দম্ভ দমায়, ভ্রাতৃত্বের আদরকে সমুজ্জ্বল করে, অন্যের প্রতি অনুকম্পাশীল হতে অনুপ্রেরণা যোগায়, বিচ্ছেদ হওয়ার মনোভাবকে সমূলে সমুৎপাটন করে। প্রকৃত ঈদপালন কারীর হৃদয়ে, ঈদ দয়া, মায়া, স্নেহ, পরোপকার, পরাধিকারবোধকে তীব্র তাগিদে জাগ্রত করে। সর্বৈব পরাভুত করে মনের হিংসা, দ্বেষ, ঈর্ষা, প্রতিশোধ গ্রহণবোধকে।

তাই আমরা একে অপরের সুখ-দু:খে পাশে দাঁড়াব আর ঈদ আনন্দে সবাইকে শামিল করে নিব। আমাদের কামনা- ঈদের আনন্দ পৌঁছে যাক সবার ঘরে ঘরে। সবার জীবন হয়ে উঠুক আনন্দময় ও উৎসবমুখর।

শেষ করছি নজরুলের ঈদ মোবারক কবিতার কয়েকটি পঙক্তি দিয়ে।

“ইসলাম বলে, সকলের তরে মোরা সবাই/সুখ-দুখ সম-ভাগ ক’রে নেব সকলে ভাই,/নাই অধিকার সঞ্চয়ের।/কারো আঁখি-জলে কারো ঝাড়ে কি রে জ্বলিবে দীপ?/দু’জনার হবে বুলন্দ-নসিব, লাখে লাখে হবে বদ্নসিব?/এ নহে বিধান ইসলামের।

ঈদ-অল-ফিতর আনিয়াছে তাই নববিধান,/ওগো সঞ্চয়ী, উদ্বৃত্ত যা করিবে দান,/ক্ষুধার অন্ন হোক তোমার!/ভোগের পেয়ালা উপচায়ে পড়ে তব হাতে,/তৃষ্ণাতুরের হিসসা আছে ও পিয়ালাতে,
দিয়া ভোগ কর, বীর, দেদার।

পথে পথে আজ হাঁকিব, বন্ধু, ঈদ মোবারক! আসসালাম!/ঠেঁটে ঠোঁটে আজ বিলাব শিরনী ফুল কালাম!

বিলিয়ে দেওয়ার আজিকে ঈদ!/আমার দানের অনুরাগে রাঙা ঈদগা’ রে!/সকলের হাতে দিয়ে দিয়ে আজ আপনারে/দেহ নয়, দিল হবে শহীদ।”

ঈদুল ফিতর সবার জন্য বয়ে আনুক অফুরন্ত কল্যাণ আর দূর হোক সব বালা মুসিবত।
সবাইকে পবিত্র ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা ও ঈদ মোবারক।